ব্যাকলিংক পাওয়ার ৪১টি কার্যকর স্ট্র্যাটেজি


ব্যাকলিংক হল এমন একটি হাইপারলিংক যা একটি ওয়েবসাইট থেকে আরেকটি ওয়েবসাইটে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণভাবে বললে, যখন কোন ওয়েবসাইট তার কনটেন্টে তোমার ওয়েবসাইটের একটি লিঙ্ক যোগ করে, তখন সেটি একটি ব্যাকলিংক হিসেবে গৃহীত হয়। উদাহরণস্বরূপ ধরো তুমি একটি ব্লক পোস্ট লিখেছো "ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে"। এখন যদি অন্য একজন ব্লগার তাদের লেখায় তোমার সেই পোস্টের একটি লিংক যুক্ত করে দেয়, তবে তুমি একটি ব্যাকলিংক পেলে। এটি এমন একটি ডিজিটাল ভোট বা রেফারেন্স যা সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে তোমার কনটেন্টের গুরুত্ব ও গুণমান তুলে ধরে।



ব্যাকলিংককে SEO দুনিয়ায় "ভোট অফ কনফিডেন্স" হিসেবে বিবেচনা করা হয়. গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিল ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে নির্ধারণ করে কোন ওয়েবসাইট বেশি রিয়ালেবল বা অথরিটেটিভ। যত বেশি মানসম্পন্ন ব্যাক লিংক থাকবে, ততই গুগলের চোখে সেই সাইট বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে এবং রেংকিংয়ে এগিয়ে থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে, শুধু ব্যাক লিংকের সংখ্যা নয়, ব্যাকলিংকের মান,উৎস ,ইলেভেনস এবং ন্যাচারেলনেসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ 

ব্যাকলিংক কিভাবে পাবেন-এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা কৌশলের ওপর নির্ভর করে। ব্যাক লিংক পাওয়া মানে হলো অন্য কাউকে তোমার কনটেন্টের মানে বিশ্বাস করানো। এর জন্যই প্রথমেই দরকার হবে তথ্যবহুল, ইউনিক ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা। যেটা অন্য ব্লগার, ওয়েবসাইট কিংবা মিডিয়া রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে। এরপর সেই কনটেন্ট কে প্রচার করতে হবে সঠিক মানুষের কাছে--যেমনঃ রিলেভেন্ট ব্লগার, জার্নালিস্ট, ফোরাম ইউজার বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছে। নিয়মিত ইমেইল আউটরিচ, গেস্ট পোস্টিং, এবং সোশ্যাল শেয়ারিং এর মাধ্যমে এই প্রচার আরো কার্যকর করা যায়।

এছাড়া ব্যাংক লিঙ্ক পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষিত কৌশল রয়েছে যেমনঃ broken link building, research page linking, infographic submission, forum participation ইত্যাদি। এসব কৌশলে তুমি অন্যদের সাহায্য করেও ব্যাক লিংক অর্জন করতে পারো। ধরো, কেউ একটি পুরনো আর্টিকেলে একটি ভাঙ্গা লিঙ্ক রেখেছে--তুমি যদি তাকে নিজের রিলে ফ্রেন্ড কন্টেন্ট সাজেস্ট করো, তাহলে সে সেটি বদলে আরো লিংক যুক্ত করতে পারে। ঠিক এভাবেই কৌশলী ও মূল্যবান উপায়ে ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়।

ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন?

ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন--এই প্রশ্নের উত্তর জানলে বুঝা যাবে কেন সফল ব্লগাররা ব্যাকলিংক তৈরি করতে এত সময় ব্যয় করে। গুগলের অ্যালগরিদম অনুযায়ী, একটি ওয়েবসাইটে যত বেশি মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক ব্যাকলিংক থাকবে, সেই সাইটকে গুগল তত বেশি মূল্য দেয়। ব্যাকলিংক হল একপ্রকার রেফারেন্স বা ভোট, যা বলে দেয় " এই কনটেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য " । ফলে ব্যাকলিংক যত বেশি থাকবে, গুগলের রেঙ্কে সেই কনটেন্টের ওপরে ওঠার সম্ভাবনা তত বেশি। শুধু তাই নয়, ভালো মানের ব্যাকলিংক থাকলে সেই ব্লগ বা ওয়েবসাইট দ্রুত গুগল সার্চ কন্ট্রোল এ ইনডেক্স হয় এবং নতুন কনটেন্ট ও সহজে ‍ র‍্যাংক পাই ।

এছাড়াও ব্যাংক লিংক অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সরাসরি সহায়তা করে। ধরো, একটি বড় নিউজ টোটাল বা জনপ্রিয় ব্লক তোমার কোন পোষ্টের সাথে লিংক দিয়েছে--সেই জায়গা থেকে হাজার হাজার পাঠক সরাসরি তোমার ব্লগে আসতে পারে। এতে শুধু ট্রাফিকই বাড়ে ন্‌ সাথে বারে ব্র্যান্ড ভ্যালু ও অথরিটি । ব্যাকলিংক থাকা মানে হচ্ছে তোমার কন্টাক্টকে অন্যরা বিশ্বাস করছে, ব্যবহার করছে এবং রেফারেন্স দিচ্ছে--এটি একাধারে এসইও এবং ব্লগিং ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় অর্জন।সোজা কথায় বললে ব্যাংকলিংক আমাদের যে যে প্রয়োজনে লাগে তা হলোঃ
  •  SEO-তে ভালো ব্যাংক পেতে
  • অর্গানাইজ ট্রাফিক বাড়াতে
  • অথরিটি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে
  • দ্রুত কনটেন্ট ইনডেক্স করার জন্য
  • প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে থাকতে

ব্যাকলিংক পাওয়ার ৪১ টি কার্যকর স্ট্যাটাজি



একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভালো ব্যাকলিংক তৈরি করা মানে সে ব্লগারের জন্য একটি শক্তিশালী SEO ভিত্তিক গড়ে তোলা। ব্যাকলিংক শুধু র‍্যাংক বাড়ায় না বরং পাঠক, অথরিটি ও ট্রাস্ট তৈরিতেও অসাধারণ ভূমিকা রাখে। নিচে ৪১ টি স্মার্ট ও সময় পরিক্ষিত লিংক বিল্ডিং কৌশল দেওয়া হল যেগুলো ব্যবহার করে যে কোন ব্লগার বা ডিজিটাল মার্কেটের নিজের সাইডে গুণগত ব্যাক লিংক তৈরি করতে পারবেঃ

  1. Guest blogging:অন্য ব্লগে গেস্ট পোস্ট লিখে নিজের ব্লগের লিংক যুক্ত করা।
  2. Broken link building :অন্য ব্লগে ভাঙ্গা লিঙ্ক (404) খুঁজে দিয়ে নিজের কনটেন্ট সাজেস্ট করা।
  3. Resource page link building:রিসোর্স বালিকা ভিত্তিক পেজে নিজের কনটেন্ট যুক্ত করা।
  4. Skyscraper technique:অন্যদের ভালো কনটেন্ট এর চেয়েও ভালো কিছু বানিয়ে ব্যাক লিংক সংগ্রহ করা।
  5. Infographic submission:ভিসুয়াল কন্টেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শেয়ার করা।
  6. Testimonial:টুল বা সার্ভিস ব্যবহার করে রিভিউ দিয়ে ব্যাকলিংক।
  7. HARO (help a reporter out):জার্নালিস্টদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অর্থনৈতিক ব্যাকলিংক পাওয়া।
  8. Blog commenting:অন্যদের ব্লগে মানসম্পন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে লিংক শেয়ার করা।
  9. Forun posting:ফোরামে অংশগ্রহণ করে লিংক যুক্ত করা।
  10. Social bookmarketing:Reddit, Flipboard ইত্যাদি সাইটে কনটেন্ট শেয়ার করা।
  11. Directory submission:লোকাল বা মিস দিরেক্টরি তে সাইট জমা দেওয়া।
  12. Profile link building:বিভিন্ন প্রোফাইল খুজে ওয়েবসাইট যুক্ত করা।
  13. Quora answering:প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দে নিজের কনটেন্ট লিংক করা
  14. Blog aggregator:Blogarama বা Alltop এ ব্লক সাবমিট করা।
  15. Expert interviews:এক্সপার্ট এর সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের সাথে ব্যাকলিংক পাওয়া
  16. Link roundups:"Best of the Week" টাইপ লিস্টে নিজের কন্টাক্ট পাঠানো
  17. Internal linking:নিজের সাইটের ভেতরেই কৌশলে লিংক যুক্ত করা।
  18. Press release:নতুন কিছু হলে সেটি নিয়ে প্রেস করা।
  19. Podcast participation:অন্যের ব্রডকাস্ট এ অংশ নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটের উল্লেখ করা।
  20. Scholarship link:স্কলারশিপ অফার করে ইউনিভার্সিটির সাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া।
  21. Event sponsorship:অনলাইন বা অফলাইন ইভেন্ট স্পন্সর করে ব্যাক লিংক আনা।
  22. Medium/linkedln posting:এই প্লাটফর্মে আর্টিকেল লিখে লিংক শেয়ার করা।
  23. Email outrage:অন্যান্য ব্লগার কে ইমেইল করে কনটেন্ট সাজেস্ট করা।
  24. Niche edits:পুরনো পোস্টে লিংক যুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা।
  25. YouTube video marketing:ভিডিও বানিয়ে লিংক Description -এ দেওয়া।
  26. Answer the public কৌশল:জনপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে প্রচার করা।
  27. PDF/ebook sharing:PDF তৈরি করে SlideShare বা Issuu-তে আপলোড করা।
  28. Tool/freebie:চেকলিস্ট বা ফ্রি টুল দিয়ে লিংক পাওয়ার সুযোগ তৈরি করা।
  29. Expert roundups:যেখানে একাধিক ব্লগার একসাথে মন্তব্য করে, সেখানে যুক্ত হওয়া।
  30. Image link building:ইউনিক ইমেজ বা চার্ট তৈরি করে অন্যরা সেটা ব্যবহারে লিংক দেয়।
  31. Controversial content:বিতর্কিত বা ব্যতিক্রমধর্মী কনটেন্ট তৈরি করে অর্গানিক লিংক আনা।
  32. Collaborative content:অন্য ব্লগারদের সাথে মিলেই কনটেন্ট তৈরি করে লিংক শেয়ার করা।
  33. Web 2.0 blogging:Tumblr, Blogger, WordPress.com ইত্যাদিতে ব্লগ তৈরি করে লিংক দেওয়া।
  34. Slide share presentations:Slide তৈরি করে সেখানে ব্লগ লিংক যুক্ত করা।
  35. Interview yourself:নিজেকে একটি এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থাপন করে ব্লগে লিংক দেওয়া।
  36. Case studies:নিজের অভিজ্ঞতা বা পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে কেস স্টাডি তৈরি করে তা প্রচার করা।
  37. Giveaways hosting:Giveaway আয়োজন করে ব্লগের প্রচার ও ব্যাকলিংক পাওয়া।
  38. Influencer tagging:ইনফ্লুয়েন্সারদের কনটেন্টে ট্যাগ করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
  39. Review exchange:নিজে রিভিউ লিখে বিনিময়ে অন্যের কাছ থেকেও রিভিউ সংগ্রহ করা।
  40. Translate popular content:জনপ্রিয় কনটেন্ট অনুবাদ করে নিজস্ব ভার্সন তৈরি করে ব্যাকলিংক আনা।
  41. Job board submission:ফ্রিল্যান্সিং বা চাকরির সুযোগ দিয়ে নির্দিষ্ট সাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া।

ব্যাকলিংকের ভালো ও মন্দ দিক

নিকের ভালো দিক হলো এটি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য এক ধরনের ভোটের মত কাজ করে। যখন একটি সাইট তোমার কন্টেন্টের দিকে লিংক করে, তখন গুগল ধরে নেয় তথ্যবহুল , নির্ভরযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক। এর ফলে সে কনটেন্ট সার্চ রেজাল্টে উপরে উঠে আসে। মানসম্মত ব্যাকলিংক থাকলে ডোমেন অথরিটি (DA),  পেজ অথরিটি (PA) এবং অর্গানাক ট্রাফিক দ্রুত বাড়ে। এছাড়া, ব্যাকলিংক কেবল ‍ রেঙ্কি বাড়ায় না, পাশাপাশি নতুন দর্শক, পাঠকের সম্ভাব্য ক্রেতাদেরও ব্লগে আনার সুযোগ তৈরি করে।

তবে ব্যক্তিত্বের কিছু খারাপ দিক রয়েছে, বিশেষ করে যদি তুমি স্প্যামি বা অপ্রাসঙ্গিক সাইট থেকে ব্যাক লিংক পাও। google এর এলগরিদম এখন অনেক বেশি স্মার্ট--যে কোন রকম লিংক মেনিপুলেশন বা পেড লিংক বিল্ডিং ধরা পড়লে পেনাল্টি বা ডি র‍্যাঙ্কিং হতে পারে। অনেকেই ভুল করে low-quality directory,automated backlink generator বা স্প্যামি ব্লগ কমেন্টের মাধ্যমে লিংক তৈরি করেন, যা SEO-তে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে। তাই ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় সব সময় উচিত হয় ভালো অথরিটি ওয়েবসাইট, প্রসঙ্গিক ন্যাচারাল সোর্স ও মানসম্মত কনটেন্ট কে গুরুত্ব দেয়া।

ব্যাকলিংকের প্রকারভেদ

ব্যাংকিং মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে: DoFollow এবং NoFFollow।DoFollow Backlink হলো সেই ধরনের লিংক, যা সার্চ ইঞ্জিন গুলো ফলো করে এবং সেটিকে ranking এর ক্ষেত্রে একটি পজেটিভ সিগন্যাল হিসেবে বিবেচনা করে। এটি গুগলের কাছে এক ধরনের ভোট হিসেবে কাজ করে, যা বলে দেয়-" এই কনটেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ, নির্ভরযোগ্য এবং ডিজিট করার মত"। ফলে, যত বেশি DoFollow লিংক এর দিকে আগাধিকার দেন কারণ এগুলো সরাসরি রেংকিং এর প্রভাব ফেলে।

অন্যদিকে,NoFollow Backlink হলো এমন একটি লিংক যেটিকে সার্চ ইঞ্জিন Follow করে না। অর্থাৎ গুগলে এই লিংকে রেংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে ধরে না।NoFollow লিংক অপ্রয়োজনীয়। এ ধরনের লিংক থেকেও ওয়েবসাইটে রেফারেন্স ট্রাফিক আসতে পারে, ব্র্যান্ড ভিজিবিলিটি বাড়ে এবং অনেক সময় সেগুলো ইনডাইরেক্টলি SEO তে সহায়তা করে। যেমনঃ উইকিপিডিয়া , কুয়ারা,ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি থেকে NoFollow লিংক পাওয়া গেলেও তা ওয়েবসাইটের রিচ ও রেপুটেশনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সুতরাং, দুটি ধরনের কি দরকার--তবে কৌশলী ভাবে ব্যালেন্স রেখে।

শেষ কথা

ব্যাক লিংক একটি ব্লক বা ওয়েবসাইটের জন্য সফলতার চাবিকাঠি। এটি কেবল সার্চ ব্যাংক বাড়ানোর জন্যই নয়, বরং সাইডের উপর পাঠক ও গুগলের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতেও অসাধারণ ভূমিকা রাখে। মানসম্মত এবং প্রাসঙ্গিক ব্যাকলিংক থাকলে অরগানিক ট্রাফিক বাড়ে। ব্লগিং দুনিয়ায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে, তা এখনই ব্যাকলিংকের গুরুত্ব বুঝে পরিকল্পিতভাবে লিংক বিল্ডিং শুরু করা উচিত।


 ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য সঠিক স্ট্যাটেজি ও ধৈর্য থাকা জরুরী। কেউ যদি শুধু শর্টকাট বা স্প্যামি কৌশল ব্যবহার করে ব্যাকলিংক তৈরির চেষ্টা করে তাহলে তা উল্টো ভাবে ক্ষতি করতে পারে। ।তাই একজন সচেতন ব্লগার বা ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে তোমার উচিত সময়োপযোগী পরিকল্পনা করে নিয়মিত লিংক বিল্ডিং চর্চা করা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

=iramedge নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url