দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপস



২০২৪ সালে এসেও যদি তুমি ভাবো "অনলাইন আয় করাটা কি সত্যিই সম্ভব?", তাহলে এ ব্লকটা তোমার জন্য। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, দিনে ৫০০ টাকা আয় করা এখন আর স্বপ্ন না। শুধু দরকার সঠিক অ্যাপ, সঠিক ধৈর্য আরেকটু বোঝাপড়া। আমি নিজে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে কাজ করেছি এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি এমন কিছু ইনকাম অ্যাপের কথা, যেগুলো ২০১৪ সালেও কার্যকর এবং লাভজনক। এই লেখায় আমি এমন কিছু অ্যাপ এর কথা বলব যেগুলোর মাধ্যমে আমি বা আমার পরিচিত অনেকেই নিয়মিত ইনকাম করেছে।

সূচিপত্রঃ

প্রথমেই বলে রাখি, এটা কোন ফেক প্রমিস নয়। হ্যাঁ, দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব__ বাট ইফ ইউ আর স্মার্ট , এখানে লাখপতি বানাবে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু টাস্ক, রেফার, প্রোগ্রাম, ভিডিও দেখা, ফটো তোলা বা ছোট ছোট রিভিউ লিখে দিনে অল্প অল্প করে টাকাটা উঠে ফেলা যায়। 

অনেকেই ভাবেন ইনকাম অ্যাপ মানে স্ক্যান বা সময় নষ্ট। কিন্তু যদি আপনি সঠিক অ্যাপ বাছাই করেন এবং রেগুলার ১-২ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে দিনে ৫০০ টাকা এমনকি তারও বেশি ইনকাম সম্ভব।
বাংলাদেশে বর্তমানে এমন অনেক অ্যাপ চালু আছে যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে ইনকাম করা যায়। কিছু অ্যাপ আছে যেগুলোর কাজ একটু পরিশ্রমসাধ্য, আবার কিছু অ্যাপ এর কাজ তুলনামূলক সহজ---যেমন ভিডিও দেখা, রেফার করা, বা অল্প কিছু ফ্রম পূরণ করা। তবে যেটাই হোক, কাজের মান পরিমাণ অনুযায়ী ইনকাম হবে। আপনি যদি একটি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন দুই ঘন্টা সঠিক অ্যাপের সময় দেয় তাহলে সে এক সপ্তাহে ফল দেখতে শুরু করতে পারে। আমি নিজেও প্রথমদিকে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু ব্যবহার করার পর বুঝেছি এটা বাস্তবতা। তবে হ্যাঁ কোন অ্যাপ এ কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে জেনে শুনে করা জরুরী

দরকারি ইনকাম এপস এর প্রকার

মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের কনসেপ্ট কাজ করে। প্রত্যেক অ্যাপের আয় করার পদ্ধতি আলাদা।, সাধারণত যেসব ধরনের অ্যাপস থেকে ইনকাম করা যায় সেগুলো হলো-
  • রেফার বোনাস অ্যাপসঃ- বন্ধু বা পরিচিতদের রেফার করলে নির্দিষ্ট অংকের টাকা পাওয়া যায়।        
  • মাইক্রো টাস্ক অ্যাপসঃ- ছোট ছোট কাজ করে যেমন ফটো আপলোড, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বা সার্ভে পূরণ করা।                                                                                                                                           
  • লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপসঃ- ভিডিও লাইভে গিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে উপহার পেয়ে ইনকাম।                   
  • ভিডিও দেখা/এড দেখার অ্যাপসঃ- নির্দিষ্ট ভিডিও, বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট দেখলে টাকা পাওয়া যায়।          
  • গেমিং অ্যাপসঃ-গেম খেলে কয়েন সংগ্রহ করে তা বিকাশ বা নগদে ক্যাশ আউট করা যায়।                       
  • ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপসঃ-মোবাইল থেকে কাজ করে আন্তর্জাতিক ক্লাইন্টদের কাছ থেকে ইনকাম।
প্রত্যেকটা ধর্মে কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর রিভিউ ও কার্যকারিতা ভালো। পরবর্তী অংশে সেগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ থাকছে।

প্রতিটি বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপসের বিশ্লেষণ

২০২৪ সালের যেসব এপ্স ব্যবহার করে আমি বা আমার পরিচিতরা সফলভাবে ইনকাম করতে পেরেছি, সেগুলোর মধ্যে কিছু নিচে তুলে ধরছিঃ

Field Agent:

বাংলাদেশে আসা নতুন কিন্তু বিশ্বব্যাপী প্রচলিত একটি অ্যাপ। এতে দোকান, পণ্যের দাম যাচাই, কিংবা মার্কেট রিভিউ এর কাজ দেওয়া হয়। প্রতিটি টাস্কের আই প্রায় ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।

Rozee Jobs:

স্থানীয় কাজের জন্য তৈরি এই অ্যাপে অনেক সময় অনলাইন ভিত্তিক ছোট কাজ থাকে যেগুলো র জন্য পেমেন্ট সরাসরি বিকাশে আসে।

Timebucks:

ভিডিও দেখা, লিংক ক্লিক করা,সার্ভে দেওয়া--সবকিছু মিলিয়ে বহুমুখী ইনকামের সুযোগ দেয়।

Binance:

স্ক্রিপ্টো মার্কেটে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মে রেফার করলে আয় হয়,আবার ট্রেডিং বা P2P ব্যবহার করে

Taptap Send:

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অ্যাপ। এক একটা নতুন রেফার করলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়।

Tofee Live/Bigo Live:

স্ট্রিমিং অ্যাপ, যেখানে তোমার অভ্রভিটা দেখে উপহার পাওয়া যায়। গিফট গুলো রূপান্তর করে টাকা তোলা সম্ভব।

এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ইউজার রিভিউ করা জরুরী এবং প্রাইভেসি রক্ষা করতে সচেতন থাকতে হবে।

রেফার করে আয়

রেফারেল ইনকাম এখন মোবাইল ইনকামের অন্যতম স্মার্ট মাধ্যম। শুধু লিংক শেয়ার করে আয় করার সুযোগ থাকে। তুমি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকো বা ইউটিউব চ্যানেল চালাও, তাহলে খুব সহজে রেফার করতে পারো।

রেপার ইনকামে ভালো অ্যাপসঃ
  • Taptap Send (প্রতি রেফার ২৫০ টাকা প্লাস)
  • Binance (ক্রিপ্টো ও ট্রেড বোনাস সহ)
  • Winzo App(রেফার করলে গেম কয়েন ও ক্যাশ)  
এই ইনকাম বিনা ইনভেস্টেড, তাই কোন রকমের ঝুঁকি নাই। শুধু রেফার করলে হবে না, ইউজারকে সঠিকভাবে সেটা গাইড করতেও জানতে হবে।

মাইক্রো ডাস্ট ও সার্ভে ইনকাম

ছোট ছোট টাস্ক বা সার্ভে করে ইনকাম করা এখন আর অবিশ্বাস্য নয়।
Timebucks,ySense,Swagbucks এসব সাইট বা অ্যাপের-
  • ৫ মিনিটের সার্ভেঃ ২০ থেকে ৫০ টাকা
  • ভিডিও দেখলেই পয়েন্ট
  • অ্যাপ ডাউনলোড করলে ইনসেনটিভ
প্রতিদিন তিন চারটা ট্রাস্ট করলে খুব সহজেই ২০০-৩০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস মোবাইলে

কম্পিউটার ছাড়াই অনেক ফ্রিল্যান্সিং কাজ এখন মোবাইল থেকেও করা যায় ।  Upwork, Fiverr,PeoplePerhourঅ্যাপ থেকে
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • রিভিউ দেখা
  • ট্রান্সক্রিপশন
এসব কাজ মোবাইলেও হয় শুধু একটু দক্ষতা আর ইংরেজি জ্ঞান থাকলে হবে।

App থেকে নিরাপদে টাকা উত্তোলন

অ্যাপ থেকে টাকা তোলার আগে যাচাই করে দেখা জরুরি যে আর একটি সত্যিকারের পেমেন্ট দেয় কিনা নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ের মধ্যে রয়েছেঃ
  • বিকাশ
  • নগদ
  • রকেট
  • পেপাল ভিপিএন দিয়ে
  • বাইনান্স বা ট্রাস্ট ওয়ালেট
সঠিক ভাবে কেওয়াইসি করে রাখলে টাকা আসতে সময় লাগে না।

নতুনদের প্রস্তুতি ও বাস্তব প

নতুন কেউ শুরু করতে চাইলে প্রথমে নিজের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ
  • একটি নির্ভরযোগ্য জিমেইল যে একাউন্ট খোলা
  • ইউটিউব এ প্রতিটি অ্যাপ এ ব্যবহার বিধি দেখা
  • নিজের বিকাশ বা নগদ একাউন্ট ব্যবহার করা
  • প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা সময় বরাদ্দ করো
  • ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করো(প্রথম সপ্তাহে এক হাজার টাকা)
এভাবে ধাপে ধাপে কাজ করলে এক মাসের মধ্যে ভালো আয় শুরু হবে।

শেষ কথা

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা কোন গ অলৌকিক কল্পনা নয়, বরং এটি একটি বাস্তব সত্য--যদি সঠিক উপায়ে কাজ করা যায়। আমি নিজেই হাতে কলমে চেষ্টা করে দেখেছি এবং এখন নিয়মিত কিছু না কিছু আয় করি।

তুমি যদি ছাত্র হও, কিংবা গৃহিণী অথবা ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী , তাহলে এখনই শুরু করো। সময় গেলে আর সময় থাকবে না। ছোট করে শুরু কর্‌ শেখো, বোঝো তারপর বড় হও।
ইন্টারনেট আসে, মোবাইল আছে এটাই তোমার শক্তি  , সেই শক্তি কাজে লাগাও আর নিজের ইনকাম নিজে শুরু করো । আগামীকাল নয় শুরু হোক আজ থেকে ।সবাই ভালো থাকবেন ,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

=iramedge নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url